বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
গাজীপুর মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। ছবি-সংগৃহীত
অনলাইন সংস্করণ : গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, যুদ্ধ করেছিলাম পিন্ডি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। মুক্ত হয়েছিলাম বটে, কিন্তু আজকে বন্দি হয়েছি দিল্লীর কাছে। দিল্লীর কাছে বন্দি যে স্বাধীনতা সেই স্বাধীনতা চাই না। তাই আবার লড়তে হবে, লড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বর্তমান সরকারের উদ্দেশে বলেন, সবার ত্যাগের ফলেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে। কারোর কাছে স্বাধীনতা বিক্রি করার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ করিনি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গাজীপুর মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ড. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ আক্তারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক মোল্লা, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সবুজ, মহানগর বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক বসির আহমেদ বাচ্চু, রাশেদুল ইসলাম কিরণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, মোতালেব হোসেন, বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম খান কালা, মনিরুল ইসলাম বাবুল, ফারুক হোসেন খান, মো. রবিউল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শাহীন, অ্যাডভোকেড মনির হোসেন, অ্যাডভোকেড শহীদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা সরকার তাপস, জিল্লুর রহমান মাসুম, নাজমুল খন্দকার সুমন, অ্যাডভোকেড মনিরুজ্জামান, নূর-ই-মোস্তফা খান, নজরুল ইসলাম নাহিদ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার আরো বলেন, গাজীপুরের ছয়দানা মালেকের বাড়ির সম্মুখ সমরে পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাপ্টেন নঈমের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পাই, অপরদিকে আমার পাল্টা গ্রেনেড নিক্ষেপে নঈম ধরাশায়ী হয়। ক্যাপ্টেন নঈমের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে হয়তো সেদিনই মারা যেতাম। কিন্তু মহান আল্লার অশেষ রহমতে আজও বেঁচে আছি। জীবন মরণ বাজি রেখে অর্জিত এই স্বাধীনতা রক্ষায় আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দিল্লীর পতন শুরু হয়ে গেছে। জীবদ্দশায় খণ্ড খণ্ড ভারত দেখে যেতে চাই। কারণ, ১৯৬৪ সাল থেকে কাশ্মীর জ্বলছে। বর্তমানে মুসলমানদের প্রতি তাদের জুলুম অত্যাচার শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। যে দেশের শাসক গোষ্ঠী এ ধরণের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়, তাদের পতন অনিবার্য।
গাজীপুরে ফ্যান ফ্যাক্টরির অগ্নিকাণ্ডের শ্রমিক হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, গাজীপুরের মাটির ওপর অনেক অত্যাচার জুলুম চলছে। এ মাটি আর সহ্য করতে পারছে না। আজকে স্বাধীনতার মধ্যে গাজীপুরসহ সারা দেশে বিষাধের কালো ছায়া।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌম আজ চরম হুমকির মুখে। মিয়ানমার তাদের রাখাইন প্রদেশের জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ওপর চেপে দিয়েছে। অপরদিকে ভারতের বিতর্কিত নাগরিক পুঞ্জিকে কেন্দ্র করে চলমান অস্থিরতায় আমাদের সীমান্ত এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় দেশ রক্ষায় ১৬ কোটি মানুষকে সীমান্ত জুড়ে মানব ব্যুহ তৈরি করতে হবে।